আশাকরা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ পুলিশ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২১ প্রকাশ হতে যাচ্ছে। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স সূত্রে জানা গেছে যে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি/মার্চ মাসের যে কোন তারিখে পুলিশ নিয়োগ ২০২১ এর প্রক্রিয়ার কার্যক্রম শুরু হবে। সব ঠিকঠাক থাকলে সম্ভবত এবারের পুলিশ নিয়োগ ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শুরু হয়ে এপ্রিল ২০২১ পর্যন্ত চলমান থাকবে।
Police Job Circular 2021
এবারের পুলিশ নিয়োগ ২০২১ এ অংশগ্রহন করে যে সকল আবেদনকারী প্রাথমিকভাবে মনোনীত হবে, তারা আগামী ২০২১ সালের এপ্রিল মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশে পুলিশের বিভিন্ন ট্রেনিং সেন্টারে ৬ মাস মেয়াদি প্রশিক্ষণ গ্রহনের জন্য অংশগ্রহন করবে। যে সকল সদস্য সফলভাবে ৬ মাস মেয়াদী মৌলিক প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করবে তারা ২০২১ পুলিশ বাহিনীর স্থায়ী শূন্য পদের বিপরীতে চূড়ান্তভাবে যোগদান করবে।
অন্যান্য চাকরির তুলানায় বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর চাকরির খবর আমরা সবাই একটু বেশি খুঁজে থাকি। কারণ খুব অল্প যোগ্যতায় ভালোমানের বেতনের চাকরি হওয়ার কারনে আমাদের দেশে এখন পুলিশের চাকরির কদর অনেকগুন বৃদ্ধি পেয়ে পেয়েছে। তাছাড়া পুলিশ বাহিনীর চাকরির মাধ্যমে মানব সেবায় কাজে নিজেকে ব্রত করা যায় বিধায় সবাই এখন পুলিশে জয়েন করতে পছন্দ করে।
পুলিশে চাকরি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২১
এ পর্যন্ত আমরা যত দূর জানতে পেরেছি তাতে মনে হয়েছে যে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের যেকোন তারিখের মধ্যে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স কর্তৃক কনস্টেবল পদে বিশাল জনবল নিয়োগ করার জন্য পুলিশ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২১ প্রকাশ করা হবে। পুলিশ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে বাংলাদেশ পুলিশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার পাশপাশি বিভিন্ন দৈনিক পত্র প্রত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে।
যোগ্যতা: বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল হতে নিয়োগের জন্য কমপক্ষে এসএসসি পাশ হতে হয়। সেই সাথে কিছু শারিরীক যোগ্যতা রয়েছে যেগুলো থাকলে আপনি খুব সহজে পুলিশের চাকরিতে যোগদান করতে পারবেন।
বয়স: সাধারণ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সন্তান বা অন্যান্য কোটার প্রার্থীদের বয়স ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে হতে হবে। তবে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা/ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের ক্ষেত্রে বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ বছর।
শারীরিক মাপ: সাধারণ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সন্তান ও অন্যান্য কোটার পুরুষ প্রার্থীদের উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি, বুক মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি এবং সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩৩ ইঞ্চি হতে হবে। নারী প্রার্থীদের উচ্চতা হতে হবে কমপক্ষে ৫ ফুট ২ ইঞ্চি।
মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা/ মুক্তিযোদ্ধার পুরুষ সন্তানের ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি এবং সম্প্রসারিত অবস্থায় হতে হবে ৩১ ইঞ্চি।
উপজাতীয় পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, বুক স্বাভাবিক অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি এবং সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩৩ ইঞ্চি থাকতে হবে।
সব প্রার্থীদের ওজন বডি মাস ইনডেক্স অনুযায়ী বয়স ও উচ্চতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
শিক্ষাগত ও অন্যান্য যোগ্যতা: এসএসসি অথবা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। কমপক্ষে জিপিএ ২.৫ বা সমমান হতে হবে। অবিবাহিত হতে হবে এবং অবশ্যই বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষা: প্রাথমিকভাবে মনোনিত হওয়ার জন্য প্রার্থীকে প্রথমে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত স্থান ও সময়ে শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। শারীরিক মাপে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের প্রবেশপত্র প্রদান এবং লিখিত পরীক্ষার স্থান ও সময় জানিয়ে দেয়া হবে।
লিখিত পরীক্ষা: শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদেরকে ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে হবে। এই লিখিত পরীক্ষা ১ ঘন্টা ৩০ মিনিটের হবে। কমপক্ষে ৪৫% নম্বর প্রাপ্ত প্রার্থীগণ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বলে বিবেচিত হবেন। তবে যারা মেধা তালিকায় শীর্ষে থাকবে, তাদের মধ্য থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রার্থীকে কেবলমাত্র পরবর্তী পরীক্ষায় মনোনীত করা হবে।
মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা: লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নির্দিষ্ট তারিখে ২০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এখানেও কমপক্ষে ৪৫% নম্বর প্রাপ্ত প্রার্থীরা উত্তীর্ণ বলে গণ্য হবেন। সবগুলো পরীক্ষায় প্রাপ্ত নাম্বারের সমন্বয়ে যারা শীর্ষে থাকবে তাদের মধ্যে থেকে চাহিদা অনুসারে প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রার্থীকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হবে।
মেডিকেল ফিটনেস যাচাই: সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে যারা চুড়ান্তভাবে মনোনিত হবে, তাদেরকে শারিরীক কোন সমস্যা আছে কি না, তা যাচাই করার জন্য একটি মেডিকেল টেস্ট হবে। এই মেডিকেল টেস্টে সাধারণত রক্ত পরীক্ষ, এইচআইভি টেস্ট, ডোভ টেস্ট বা মাদকাশক্তি সহ আরো কিছু পরীক্ষা করা হয়। মেডিকেল ফিটনেস যাচাই করার পর যারা যোগ্য প্রার্থী হিসেবে প্রামান করতে পারবে তাদেরকে ট্রেনিং করার জন্য এপয়নমেন্ট লেটার দেওয়া হবে।
বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা: প্রশিক্ষণ শেষ করার পর প্রার্থীদের কনস্টেবল পদে চূড়ান্ত নিয়োগ করা হয়। একজন কনস্টেবল জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯ অনুযায়ী ৯ হাজার ৯৫ টাকা বেতন পেয়ে থাকেন। এ ছাড়া দুই বছর শিক্ষানবিসকাল সফলভাবে শেষ করার পর চাকরি স্থায়ী হলে বিনা মূল্যে পোসাকসামগ্রী, ঝুঁকি ভাতা, চিকিৎসাসুবিধা, রেশনসহ অন্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন। একজন পুলিশ কনস্টেবল ছয় বছর চাকরি করার পর বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে পদোন্নতি পেতে পারেন। এ ছাড়া জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে যাওয়ার সুযোগ আসতে পারে।
পুলিশ সুপার এর কার্যালয়ে নিয়োগ..